উত্তরাঞ্চলের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মীরগঞ্জ হাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়-এর গৌরবময় ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্লাটিনাম জয়ন্তী ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান জাঁকালো আয়োজনে পালিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার (৯ জুন) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানটি উদযাপিত হয়।
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জে অবস্থিত এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে দিনব্যাপী এ আয়োজন এক মিলনমেলায় রূপ নেয়।
দীর্ঘদিন পর সহপাঠী, নতুন-পুরনো ব্যাচের শিক্ষার্থীদের একত্রে ফিরে পাওয়া, স্মৃতির পাতা উল্টে দেখা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া আবেগঘন মুহূর্তে মুখর ছিল পুরো আয়োজন।
সকাল ১১টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালি বের হয়।র্যালিটি মীরগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ করে অনুষ্ঠানস্থলে এসে শেষ হয়।
দিনব্যাপী কর্মসূচিতে ছিল স্মৃতিচারণ, আলোচনা সভা, র্যাফেল ড্র এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিভিন্ন ব্যাচের প্রায় এক হাজার প্রাক্তন শিক্ষার্থী উপস্থিত থেকে এই আনন্দ-উৎসবকে স্মরণীয় করে তোলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসির অবসরপ্রাপ্ত ডিজিএম ও একই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী তওহিদুল ইসলাম।
উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জনাব মোঃ আব্দুল করিম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-সচিব ও কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফিরুজুল ইসলাম, গ্রামীণ ব্যাংক কৃষি ফাউন্ডেশনের অবসরপ্রাপ্ত এজিএম ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোঃ মোজাম্মেল হক।
অনুষ্ঠানে বরেণ্য অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ এনামুল হক (বিএসসি), মোঃ মতিয়ার রহমান (বিএসসি), মোঃ আব্দুল গণি, মোঃ আজিজুল হক (বিএসসি)। বরেণ্য অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মীরগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোঃ আতিউর রহমান।
পুরো অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ৭নং মীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা মানিক এবং প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাকুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
আয়োজকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা, অতিথিদের উপস্থিতি এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রাণের স্পন্দনে একটি যুগান্তকারী মিলনমেলায় পরিণত হয় বিদ্যালয় প্রাঙ্গন।