দেশের অন্যতম বৃহৎ সবজির মোকাম হিসেবে পরিচিত বগুড়ার মহাস্থান হাট। সেখানে পাইকারি বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমায় নাজুক পরিস্থিতিতে পড়েছে প্রান্তিক কৃষকরা।
বিশেষ করে এক কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১ থেকে ৪ টাকা কেজি দরে। ফলে কৃষকরা তাদের উৎপাদন খরচ তুলতেই হিমশিম খাচ্ছে। চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।
কৃষিপণ্যের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দ্রব্যমূল্য এতটা হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
তবে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ কৃষকরা। তাদের ভাষ্য, এক কেজি ফুলকপির মূল্য কোন যুক্তিতে ১-৪ টাকা হয়? আমাদেরকে লোকসান গুণতে হচ্ছে।
আসমত আলী নামের এক কৃষক বলেন, প্রতি বিঘায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে ফুলকপি চাষ করে। কৃষকদের জ্বালা কেউ বোঝে না। কাউকে বলতেও পারছি না, সহ্যও করতে পারছি না।
এদিকে, নীলফামারীর সৈয়দপুরে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে হালি হিসেবে। ১ হালি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়।