সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন।
রোববার দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটে তিনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। তার সঙ্গে ছিলেন ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ ও শ্যালক ডা. নওশাদ খান।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, আবদুল হামিদ হুইলচেয়ারে করে উড়োজাহাজ থেকে নামেন এবং ভিআইপি সুবিধা ছাড়াই সাধারণ যাত্রীর মতো ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদ।
উল্লেখ্য, গত ৭ মে রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি থাইল্যান্ড যান। তখন তার বিদেশ যাত্রা ঘিরে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
কিশোরগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি চালানোর অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদসহ মোট ১২৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ থানায় দায়ের করা হয়।
এদিকে আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর ভেতরে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীকে প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার ও দুইজন নিম্নপদস্থ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ ঘটনায় সরকার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার। অন্যান্য সদস্যরা হলেন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং সাবেক সামরিক কর্মকর্তা ও বর্তমান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।