সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা।
মঙ্গলবার(৭ জিলহজ) সন্ধ্যার পর থেকে হজযাত্রীরা ইহরাম বেঁধে মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারাম কিংবা নিজ নিজ আবাসন থেকে মিনার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন।
সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে চার লক্ষাধিক হাজি মিনায় অবস্থান করছেন।
মিনা উপত্যকা এখন পবিত্র ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
হজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ‘ওকুফে আরাফা’ আগামী বৃহস্পতিবার (৯ জিলহজ) অনুষ্ঠিত হবে।
এ দিন আরাফাতের ময়দানে মিলিত হবেন হাজিরা এবং পবিত্র খুতবা প্রদান করবেন সৌদি আরবের বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ও শূরা কাউন্সিলের সদস্য শেখ সালেহ বিন হুমাইদ।
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ রাজকীয় ফরমানে তাকে এ খুতবা দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন।
৯ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতে অবস্থান শেষে হাজিরা রওনা হবেন মুজদালিফার উদ্দেশে। সেখান থেকে পাথর সংগ্রহ করে ১০ জিলহজ ফজরের নামাজের পর মিনায় ফিরে বড় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন, দমে শোকর তথা কুরবানি সম্পন্ন করবেন এবং মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে হজের পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা পালনে মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সায়ি সম্পন্ন করবেন।
এরপর হাজিরা পুনরায় মিনায় ফিরে ১১ ও ১২ জিলহজ—এই দুই দিনে তিনটি (বড়, মধ্যম ও ছোট) শয়তানকে ২১টি করে পাথর নিক্ষেপ করবেন। সবশেষে ‘বিদায়ি তওয়াফ’-এর মাধ্যমে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
এ বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১৫ লাখ মুসল্লি হজ পালনে সৌদি আরবে এসেছেন