দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজ থেকে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম জাহাজ যাত্রা করে। তবে বৃহস্পতিবার যাত্রী সংকটের কারণে যাত্রা বাতিল করা হয়েছিল।
সেন্টমার্টিনে পলিথিন ও ওয়ানটাইম প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে পরিবেশ অধিদপ্তর শনিবার থেকে ১০টি বিশেষ টিম গঠন করেছে। এই টিমগুলো ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাহাজ মনিটরিং, স্ক্যানিংসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করবে।
অধিদপ্তরের কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক জমির উদ্দিন জানিয়েছেন, জাহাজে যাত্রীদের পাটের তৈরি ব্যাগ বিনামূল্যে দেওয়া হবে। পরিবেশমুক্ত রাখতে পর্যটকদের পলিথিন ও ওয়ানটাইম প্লাস্টিক বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, তিনটি জাহাজকে সেন্টমার্টিনে চলাচলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
পর্যটকদের ভ্রমণ সুরক্ষিত রাখতে নতুন নিয়ম প্রণয়ন করা হয়েছে।
• নিবন্ধন ও ট্রাভেল পাস: জাহাজে ওঠার আগে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে ট্রাভেল পাস নিতে হবে।
• হোটেল তথ্য সংরক্ষণ: দ্বীপে পৌঁছে পর্যটকদের হোটেল তথ্য রেজিস্টারে সংরক্ষণ করা হবে।
• পলিথিন ও প্লাস্টিক নিষিদ্ধ: পর্যটক ও জাহাজে পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পরিবহন নিষিদ্ধ।
নাফ নদে ডুবোচর জেগে ওঠা এবং মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনার কারণে আপাতত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে।
প্রতি বছর অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল অনুমোদিত থাকে। তবে সাগরের উত্তাল পরিস্থিতির কারণে বাকি ছয় মাস বন্ধ রাখা হয়।