এখন প্রযুক্তির যুগ। দৈনন্দিন সকল কাজে মানুষের প্রযুক্তির সাথে সংযুক্তি বাড়ছে। প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে। বদলে গেছে সম্পর্কের ধরণ।
বর্তমানে পূর্বের তুলনায় সম্পর্কে দূরত্ব বাড়ছে। সম্পর্ক নিয়ে মানসিক অশান্তিতে ভুগছে এমন মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে ।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশে প্রতি দশটি বিবাহিত দম্পতির মধ্যে অন্তত তিনটি দম্পতি ‘ইমোশনাল ডিস্ট্যান্স’ বা মানসিক দূরত্বের সমস্যায় ভুগছে।
একটা সম্পর্ক টিকে থাকে পারস্পরিক যত্ন, সময় দেয়া এবং মনোযোগের উপর। কিন্তু এখনকার জীবনগুলো যান্ত্রিক হয়ে পড়ায় স্বামী-স্ত্রী কিংবা বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যে কথাবার্তা সীমিত হয়ে যাচ্ছে। দরকার ছাড়া তেমন একটা কথা হয়না। যা দীর্ঘমেয়াদে সম্পর্কের উপর খুবই ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সায়মা হক বলেন, “অনেক সময় মানুষ বুঝতেই পারে না তারা মানসিকভাবে একা হয়ে পড়ছে। ফোনে থাকছে, কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকছে, কিন্তু প্রিয় মানুষটির সঙ্গে হৃদ্যতা হারিয়ে ফেলছে। এটা দীর্ঘমেয়াদে সম্পর্কের জন্য খুবই ক্ষতিকর।”
সমাধান কী হতে পারে?
১. দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় নিজেদের জন্য রাখুন।
২. দৈনন্দিন জীবনের ছোট ছোট কাজগুলো মিলেমিশে করুন।
৩. সময় পেলেই একসাথে হাটুন কিংবা ছোট্ট ভ্রমণে বের হউন।
৪. সপ্তাহে অন্তত একদিন ডিজিটাল ডিটক্স করুন।
৫.সন্তানদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলার সময় নির্ধারণ করুন