গত ৫ এপ্রিল বাজারে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় বহু মানুষ।
এই ঘটনা নতুন নয়। ৪১ বছর ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এরকম সংঘর্ষ সেখানে হরহামেশাই হয়। তবে এখন তা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
এই সংঘর্ষের পেছনে রয়েছেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ‘বোমা কুদ্দুস’ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ‘বোমা জলিল’। ১৯৮৪ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকেই তাদের বিরোধের সূত্রপাত।
হাতবোমা হামলায় এ পর্যন্ত ৮ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন এক হাজারেরও বেশি মানুষ। আহতদের অনেকেরই স্থায়ীভাবে অঙ্গহানি হয়েছে।
ঐ এলাকায় বোমা তৈরি ও ব্যবহার এখন গ্রামে সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘরে ঘরে, স্কুল, চর, এমনকি নৌকায়ও তৈরি হয় বোমা।
জানা গেছে, এলাকার মহিলাদের পাহারায় পুরুষরা বোমা তৈরি করে। বোমার মালামাল আসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে। সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে কুদ্দুসের ভাই নূর ইসলাম।
এসকল সহিংসতার ঘটনায় টিকতে না পেরে গ্রাম ছেড়েছেন বহু মানুষ। পুলিশ বলছে, অপরাধীরা আইনের ফাঁক গলে জামিনে বেরিয়ে এসে পুনরায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।