এক লাখ টাকা করে বিনা সুদে ঋণ দেয়া হবে এই প্রলোভনে শাহবাগে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশের চেষ্টা করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করেছে অহিংস গণঅভ্যুত্থান নামের একটি সংগঠন।
রবিবার রাত থেকেই বাসে এবং মাইক্রোবাসে করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন আসতে শুরু করে। যানবাহনগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগ এলাকায় পার্কিং করা হয়।
ক্যাম্পাসে অপিরিচিত মানুষের আনাগোনা দেখে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পরে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পয়েন্টে স্থান নিয়ে শতাধিক বাস ফিরিয়ে দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করেছে।
জানা যায়, অহিংস গণঅভ্যুত্থান নামের সংগঠনটি সারাদেশের খেটে খাওয়া গরিব মানুষগুলোকে টার্গেট করে বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত এনে সেগুলো বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। এর বিনিময়ে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ জনপ্রতি এক হাজার করে টাকাও হাতিয়ে নেয় তারা।
যাদেরকে নিয়ে আসা হয়েছে তাদের ভাষ্য, তাদেরকে বিনা সুদে ঋণ দেয়া হবে। এই ঋণের টাকার জন্যই তারা এসেছে।
এই ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক গ্রুপগুলোতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, অহিংস গণঅভ্যুত্থান নামের সংগঠনটি আমাদের কাছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ লাখ লোকের সমাবেশ করার জন্য অনুমতিও চেয়েছিল। আমরা তাদের অতীত ঘেঁটে দেখলাম অতীতেও এদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এরা এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে সাধারণ লোকদের থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গাইবান্ধা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ সারাদেশ থেকে তারা লোকজন নিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা রাত ১২টার পর থেকেই বাসের মানুষগুলো প্রতারণার শিকার হয়েছে এটি বুঝিয়ে ফেরত পাঠাচ্ছি। কিন্তু একের পর এক বাস আসছেই। আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকও করা হয়েছে।