রমজান মাস চলছে। এসময় দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকতে হয় বলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই রোজায় সঠিক খাদ্য নির্বাচন করা জরুরি।
রোজার সবচেয়ে কার্যকরী এবং উপকারী খাবার হলো খেজুর। খেজুরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হলো:
শক্তি প্রদান করে: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক শর্করা যেমন গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ এবং সুক্রোজ থাকে। এগুলো শরীরকে দ্রুত শক্তি প্রদান করে। রোজার সময় দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার পর খেজুর খেলে তা দ্রুত শরীরকে শক্তি ফিরিয়ে দেয়।
পাচনক্রিয়া উন্নত করে: খেজুরে প্রচুর ফাইবার থাকে যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এবং পেট পরিষ্কার রাখে।
পটাসিয়ামের উৎস: খেজুরে পটাসিয়াম বেশ ভালো পরিমাণে থাকে, যা শরীরের সেলের কার্যক্রম বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি হৃদযন্ত্রের সুস্থতা রক্ষা করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
ভিটামিন ও মিনারেলের ভালো উৎস: খেজুরে ভিটামিন এ, বি-৬, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন,এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খনিজ রয়েছে। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এগুলো বেশ ভূমিকা রাখে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: রোজায় অনেকে জিলাপি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার খায় এতে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তবে খেজুর খেলে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকে। খেজুরে থাকা ফাইবার এবং প্রাকৃতিক শর্করা রক্তের শর্করার স্তরকে নিয়ন্ত্রণ করে।