যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন একটি বড় নীতিগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে, যেখানে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে হামলা চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মার্কিন দুই কর্মকর্তা এবং একটি সূত্র জানিয়েছে যে, এই সিদ্ধান্ত ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
সূত্র অনুযায়ী, ইউক্রেন আগামী দিনগুলোতে দূরপাল্লার হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদিও নিরাপত্তাজনিত কারণে এই হামলার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, প্রথম হামলায় ব্যবহার হতে পারে এটিএসিএমএস রকেট, যা ১৯০ মাইল (৩০৬ কিলোমিটার) দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
প্রতিবাদ এবং প্রস্তুতি
হোয়াইট হাউস এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি কয়েক মাস ধরে রাশিয়ার অভ্যন্তরে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালানোর অনুমতি চেয়ে আসছিলেন। এই নতুন সিদ্ধান্ত এমন এক সময় নেওয়া হলো, যখন রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েন করেছে রণক্ষেত্রে, যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেন উভয়েই উদ্বিগ্ন।
যুদ্ধের প্রভাব এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা
যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কর্মকর্তা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে এই পদক্ষেপ যুদ্ধের গতিপথে কতটা পরিবর্তন আনতে পারবে। তবে তাদের মতে, রুশ বাহিনীকে মোকাবিলায় ইউক্রেনের জন্য এই অনুমতি সহায়ক হতে পারে এবং ভবিষ্যতে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় কিয়েভকে সুবিধাজনক অবস্থানে রাখবে।
অন্যদিকে, আসন্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তিনি আগে থেকেই ইউক্রেনকে দেওয়া আর্থিক ও সামরিক সহায়তার সমালোচনা করে আসছেন এবং যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে এই লক্ষ্য পূরণের জন্য তার পরিকল্পনা সম্পর্কে কোনো বিশদ তথ্য পাওয়া যায়নি।