কিছু সামাজিক শিষ্টাচার রয়েছে যা সাধারণ ভদ্রতা ও সম্মান প্রকাশ করে। দৈনন্দিন জীবনে এগুলোর চর্চা করা জরুরি।
১. কারও কথা বলার মাঝপথে বাধা দেবেন না। আগে তার বক্তব্য সম্পূর্ণ হোক, তারপর নিজের কথা বলুন।
২. কেউ উপকার করলে অন্তত আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।
৩. কারও চেহারা, পোশাক বা ব্যক্তিগত বিষয়ে মন্তব্য করার আগে ভাবুন—যদি ইতিবাচক না হয়, তাহলে চুপ থাকাই শ্রেয়।
৪. লাইনে দাঁড়িয়ে কখনো সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। এটা অন্যদের প্রতি অসম্মানজনক।
৫. অপিরিত কাউকে ফোন করার আগে নিজের পরিচয় জানিয়ে টেক্সট করুন। কাউকে ২ বারের বেশি কল দিবেন না। ফোনে না পেলে টেক্সট করে প্রয়োজনীয় কথা জানান।
৬. কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় মুখ ও নাক ঢেকে রাখুন, যাতে অন্যরা অস্বস্তি অনুভব না করেন।
৭. কারও রুমে প্রবেশের আগে নক করুন এবং অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করুন।
৮. কারও কাছ থেকে কিছু ধার নিলে সময়মতো ফেরতে দিন। দিতে না পারলে যৌক্তিক কারণ জানিয়ে সময় বাড়ানোর অনুরোধ করুন।
৯. অপরিচিত ব্যক্তির দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবেন না, এটি তার জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে।
১০. পাবলিক প্লেসে মিউজিক বা ভিডিও দেখার সময় হেডফোন ব্যবহার করুন, অন্যদের বিরক্ত করবেন না।
১১. বাইরে খেতে গেলে খাবারের বিল ন্যায্যভাবে ভাগ করে নিন, এটা সৌজন্যের পরিচয়।
১২. কাউকে পেছনে রেখে তার সম্পর্কে গসিপ করবেন না।
১৩. বাসে, ট্রেনে বা যেকোনো গণপরিবহনে যদি বৃদ্ধ, গর্ভবতী নারী বা শারীরিকভাবে দুর্বল কেউ থাকেন, তাদের জন্য নিজের আসন ছেড়ে দিন।
১৪. কিছু চাইলে সবসময় “দয়া করে” শব্দটি ব্যবহার করুন।
১৫. যদি কারও কোনো জিনিস নষ্ট করে ফেলেন, তাহলে সেটির পরিবর্তে নতুনটি দেওয়ার চেষ্টা করুন।
১৬. কারও ফোনের স্ক্রিনে অনুমতি ছাড়া তাকাবেন না। কারও ফোনের গ্যালারিতে অনুমতি ছাড়া যাবেন না।
১৭. সময়ের প্রতি সম্মান দেখান, দেরি করবেন না।
১৮. মিটিং বা ক্লাস চলাকালীন ফোন সাইলেন্টে রাখুন। কোন মিটিং চলাকালে ফোন চাপবেন না। বিশেষ করে বড়দের সাথে কথা বলার সময় ফোন চাপা বড় ধরণের বেয়াদবি।
১৯. কেউ যদি কোনো অনুরোধে “না” বলে, তাহলে সেটি সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করুন।
২০. বন্ধুত্বের মানে এই নয় যে, সবসময় বিনামূল্যে সাহায্য পাওয়া যাবে—পরস্পরের পরিশ্রমের মূল্য দিন।