সম্প্রতি ফেসবুকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মারা যাওয়া মুগ্ধকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কিছু পোস্টে দাবি করা হচ্ছে মুগ্ধ মারা যাননি, এমনকি মুগ্ধ নামে কোনো ব্যক্তি ছিলই না। মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ নামে দুইজন পৃথক ভাই নেই, বরং একজনই। স্নিগ্ধই মুগ্ধ।
একটি ফেসবুক পোস্টে, সাপোর্টারস অব বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নামের গ্রুপটি মুগ্ধের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে এবং প্রশ্ন তোলে, ‘মুগ্ধর ডেডবডির ছবি কেউ দেখে নাই, মুগ্ধর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট, জানাজা, কবর কই?’
তবে, তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার বাংলাদেশ এ নিয়ে ফ্যাক্ট চেকিং করে নিশ্চিত করেছে যে, মুগ্ধ এবং স্নিগ্ধ দুই পৃথক ব্যক্তি ছিলেন। তারা যমজ ভাই। ওপেন সোর্স অনুসন্ধানের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুগ্ধ ও স্নিগ্ধের একসঙ্গে তোলা অসংখ্য ছবি এবং ভিডিওর ভিত্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া দাবিগুলোকে মিথ্যা বলে ঘোষণা করেছে।
তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুগ্ধ ১৮ জুলাই, উত্তরার আজমপুরে বিক্ষোভকারীদের জন্য পানি ও খাবার নিয়ে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন। মৃত্যুর ১৫ মিনিট আগে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি বিক্ষোভকারীদের পানির বোতল ও বিস্কুট বিতরণ করছেন। পরে বিকেল ৫টার দিকে তাকে গুলি করা হয় এবং তা মাথার কপাল ভেদ করে বেরিয়ে যায়। মুগ্ধকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।