শেষ চারটা ইনিংসে ব্যাট হাতে অতটা নিজেকে রাঙাতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ । স্বভাবতই দর্শকরা তার প্রতি নারাজ। কিন্তু না! তিনি আজ জ্বলে উঠেছেন। ৯৮ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলে নিজেকে আবারও প্রমাণ করে দিলেন। তিনি আলো ছড়ালেও বাংলাদেশ জিততে পারেনি। ৫ উইকেটের ব্যবধানে ম্যাচ হেরে নিভে গেল বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের স্বপ্ন।
শত রানের ইনিংস তুলতে আর মাত্র ২ রান দরকার ছিলো। তার আগেই রান আউট হয়ে যান মাহমুদুল্লাহ। আক্ষেপ আর হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। তবে ব্যাট হাতে তিনি আজ দারুণ ঝলক দেখিয়েছেন।
বয়স চল্লিশের কোঠায়। কাঁচা-পাকা দাঁড়ি। বয়সের ভারে ন্যুজ এই মাহামুদুল্লাহই জানান দিলেন – ‘আমি এখনও ফুরিয়ে যাইনি’। খেলেছেন ১০০ স্ট্রাইকে, নিয়েছেন ৯৮ বলে ৯৮ রান, মেরেছেন ৩ ছক্কা ৭ চার। তার শরীরি অভিব্যক্তি, রানিং, সাহসী শট চোখে পড়ার মতো।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজা স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ২৪৪ রান। মিরাজের ব্যাট থেকে ৬৬ রান আর মাহমুদুল্লাহর ব্যাট থেকে ৯৮ রান – একে পুঁজি করেই বংলাদেশ এগিয়েছে। কিন্তু অন্যান্য ব্যাটারদের কাছ থেকে তেমন রান আসেনি।
শারজায় ২৪৪ রানও কিন্তু চ্যালেঞ্জিং স্কোর। ২১ তম ওভার পর্যন্ত বাংলাদেশ ভালো অবস্থান ধরে রেখেছিলো। তবে মাটি কামড়ে ক্রিজে আঁকড়ে ছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। দু’জনের ব্যাটিং নৈপুন্যেই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে পর্যুদস্ত করে সিরিজ নিজেদের করে নিলো আফগানিস্তান।