চট্টগ্রাম নগরের বড় বাজারগুলোর মধ্যে বহদ্দারহাট অন্যতম। সেখানে ৩০টিরও বেশি দোকানে সয়াবিন তেল বিক্রি হলেও গতকাল শনিবার মাত্র একটি দোকানে দুটি পাঁচ লিটারের বোতল পাওয়া যায়।
ঢাকায়ও একই পরিস্থিতি। বিভিন্ন মুদিদোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না এবং কিছু দোকানে তেল কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে অন্য পণ্যও নিতে। একদিকে বাড়তি চাহিদার সুযোগে খোলা সয়াবিন তেলের দামও বেড়েছে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) তথ্যে জানা গেছে, দেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২২ লাখ মেট্রিক টন, যার বড় অংশ আমদানি করে মেটানো হয়। তবে গত তিন মাসে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের আমদানি বেড়েছে ৬৯ শতাংশ। তবে সয়াবিন তেল পাওয়া না যাওয়ার কারণে সরবরাহ সংকট তৈরির কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ভোজ্যতেল সরবরাহকারী শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা জানিয়েছেন, তারা নিয়মিত তেল সরবরাহ করলেও কেন সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা বলতে পারছেন না।
অন্যদিকে, মেঘনা গ্রুপের উপমহাব্যবস্থাপক তসলিম শাহরিয়ার জানিয়েছেন, শীতের শেষে সয়াবিন তেলের চাহিদা কমার কথা ছিল, তবে বর্তমানে সরবরাহে কোনো ঘাটতি হওয়ার কথা নয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ট্যারিফ কমিশন ইতোমধ্যেই কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে সরবরাহের তথ্য চেয়ে বৈঠক ডাকার প্রস্তুতি নিয়েছে।
এদিকে, খোলা সয়াবিন তেলের দাম এক সপ্তাহে লিটারপ্রতি ৬ থেকে ৭ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৮২ টাকায়।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমলেও বাংলাদেশের বাজারে দাম বাড়ছে এবং রমজান মাসের আগে সংকট কাটবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।