বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো উচিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তার এই মন্তব্য নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। পরে তিনি নিজের বক্তব্য নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি জানান, ‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে’ মর্মে একটি সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। আমি মনে করেছিলাম, বঙ্গভবনের দরবার কক্ষে যেখানে সব রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে সেখান থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো হয়েছে। মূলত ছবিটি সরানো হয়েছিল বঙ্গভবনের অন্য একটি অফিস কক্ষ থেকে’।
শেখ হাসিনার শাসনে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি রাখার বাধ্যতামূলক আইন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী আইনের কোনো কার্যকারিতা থাকতে পারে না। অফিস-আদালত সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিৎ নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত’।
তিনি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলেন, ‘ শেখ হাসিনার শাসনে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি রাখার বাধ্যতামূলক আইন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আইনের কোনো কার্যকারিতা থাকতে পারে না। অফিস-আদালত সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিৎ নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত’।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমি মনে করি, তাঁর (শেখ মুজিবুর রহমান) ছবি নামিয়ে ফেলা উচিত হয়নি। খন্দকার মোশতাক নামিয়েছিলেন, জিয়াউর রহমান তুলেছিলেন।’
তার এই বক্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।