পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার তীব্র ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। ভর্তি হতে হয় ঢাকার ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে। ইচ্ছে ছিলো বাইরে পড়তে যাওয়ারও , পরিবারের অসম্মতির কারণে সেটিও সম্ভব হয়নি। ফলে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন ইশতিয়াক আহমেদ মাহিন নামের এক বিবিএ শিক্ষার্থী।
মানসিক এই বিপর্যস্ত অবস্থা কাটিয়ে উঠতে না পেরে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এভাবেই নিজেকে গুটিয়ে ফেলেন ইশতিয়াক।
ইশতিয়াক টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাসিন্দা এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মাহবুব আলম চৌধুরীর ছেলে। সন্তানের এমন মর্মান্তিক মৃত্যু কিছুতেই মানতে পারছেন না তারা। পরিবার জুড়ে এখন শোকের মাতম।
জানা গেছে, ঘটনার সময় ইশতিয়াকের দুই রুমমেট বাসায় ছিলোনা। তারা কয়েকবার তাকে ফোনে না পেয়ে মেসে এসে দেখেন দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে সন্দেহ হলে পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। তার কাছে একটি চিরকুটও পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিলো- আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।
ভাটারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক জানিয়েছেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে।