শীতকাল আসলেই খেজুরের রস খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। কেউ কেউ কোন বৈজ্ঞানিক এবং স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতি ব্যতিরেকেই খেজুরের কাঁচা রস খেয়ে ফেলছেন। এতে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
গত বছর চার জেলায় (খুলনা, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ ও নওগাঁ) খেজুরের কাঁচা রস খেয়ে পাঁচজন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হন। পরে ওই পাঁচজনই মারা গেছেন বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।
২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩৪৩ জন ব্যক্তির শরীরে নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭১ শতাংশই মারা গেছেন।
সম্প্রতি ফেসবুকে বেশ কিছু পেইজ থেকে খেজুরের কাঁচা রস বিক্রির চটকদার বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে। তারা প্রচার করছেন, নেট দিয়ে ঢেকে সংগ্রহ করা হয় বলে নিপাহ ভাইরাসের কোনো ঝুঁকি তাদের খেজুরের কাঁচা রসে নেই। এমনকি ফ্রোজেন করে পাঠান তারা, তাই স্বাদ অবিকৃত থাকে। আবার কেউ কেউ বাগান থেকে রস পান করতে করতে ভিডিও দিচ্ছেন পেইজে।
এ ব্যাপারে ভাইরাস বিশেষজ্ঞ, জনস্বাস্থ্যবিদ ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন। তারা বলছেন, ভাবে খেজুরের কাঁচা রসের প্রচারে বিজ্ঞাপন জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। খেজুরের কাঁচা রস খেলে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
রকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন জানিয়েছেন, এ ধরণের বিজ্ঞাপনে যা বলা হচ্ছে তা পুরোপুরি অবৈজ্ঞানিক, মিথ্যা ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ।