কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে কি পরিমাণ টাকা পাওয়া যায় এ নিয়ে আগ্রহের সীমা নেই। এতোদিন বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিলো। তবে এবার এ বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান।
তিনি শনিবার সাংবাদিকদের টাকার পরিমাণের বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেছেন।
তিনি জানান, মসজিদের দান বাক্স থেকে পাওয়া আয় থেকে মসজিদ পরিচালনা, এতিমখানা পরিচালনা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনুদান দেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট টাকা কিশোরগঞ্জের রূপালী ব্যাংকে মসজিদের হিসাবে জমা রাখা হয়েছে। এসব খরচ বাদে এ পর্যন্ত ব্যাংক হিসাবে জমা আছে ৮০ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
গচ্ছিত টাকা দিয়ে মসজিদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ, ইসলামী কমপ্লেক্স নির্মাণ এবং মসজিদের জমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রতি তিন মাস অন্তর পাগলা মসজিদের দানবক্সগুলো খোলা হয়। সর্বশেষ শনিবার শনিবার সকালে মসজিদের ১১টি লোহার সিন্দুক খুলে পাওয়া যায় ২৮ বস্তা টাকা। ব্যাংকের ৬০ কর্মচারীসহ ৩৭০ জন এই টাকা গণনার কাজে অংশ নেন। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।