দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতির অবস্থান এখনও অনড়। দৈনন্দিন জীবন যাপনের ব্যয় দিনকে দিন বাড়ছেই। এতে সবেচেয়ে সমস্যাগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সংসার চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।
নিম্ন আয়ের ৪০ শতাংশ মানুষদের ওষুধের পেছনে গড় ব্যয় এখন ২০ শতাংশ। ক্যানসার ও কিডনি রোগের পেছনেই তাদের ব্যয় বেশি।
দেশের মানুষের ওষুধ ও স্বাস্থ্যখাতের সঙ্গে জড়িত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সামগ্রিক ব্যয় বৈশ্বিক গড়ব্যয়ের থেকে ১৭ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে যা প্রায় ৭৩ শতাংশ।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে র্যাপিড আয়োজিত এক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভলপমেন্ট (র্যাপিড) এর চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর দেশের ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। যার নেতিবাচক প্রভাব পরিবারের ওপর পড়বে। এতে দারিদ্র্য বেড়ে যাবে এমন শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য ও সেবাখাতে ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি অর্থায়ন বৃদ্ধি করতে হবে।