গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গভীর নিম্নচাপে রূপ নেয় এবং পটুয়াখালীর খেপুপাড়া দিয়ে উপকূল অতিক্রম করে। সেই সঙ্গে শুরু হয় টানা বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া আর অস্বাভাবিক জোয়ার। উপকূলীয় ১৪টি জেলার এখন নাজেহাল অবস্থা।
দুর্ভোগে লাখো মানুষ
নোয়াখালীর নিঝুমদ্বীপ থেকে হাতিয়া, বরগুনার আমতলী থেকে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী সব জায়গাতেই এক চিত্র: পানিবন্দি মানুষ, বিদ্যুৎহীন গ্রাম, ভেসে যাওয়া মাছের ঘের আর ভেঙে পড়া বেড়িবাঁধ। ভোলায় তজুমদ্দিনের স্লুইসগেটের পাশের রিং বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটাছুটি করছে।
নৌযান বন্ধ, জীবন স্থবির
বিআইডব্লিউটিএ দেশের অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় সব নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরিও বন্ধ। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় মোবাইল নেটওয়ার্কও অচল হয়ে পড়েছে অনেক এলাকায়।
বন্যার শঙ্কা ছড়িয়ে পড়ছে
পানি উন্নয়ন বোর্ড সতর্ক করেছে, পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছয় জেলায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ফেনী, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনার নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। মুহুরী, মনু, খোয়াই ও যাদুকাটাসহ একাধিক নদীর পানি হঠাৎ করে বেড়ে গেছে।
রাজধানী ঢাকায়ও দুর্ভোগ
ঢাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। সন্ধ্যার পর অফিসফেরত মানুষকে পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে। যানবাহনের সংকটে রিকশা ও বাইকচালকেরা বাড়িয়ে দিয়েছেন ভাড়া।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানিয়েছেন, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে না, তবে এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া শনিবার পর্যন্ত থাকতে পারে।