বর্তমানে সময়ে সমাজে প্রচুর পরিমাণে নৈতিক অবক্ষয় দেখা যাচ্ছে। সমাজে বেড়ে যাচ্ছে অন্যায়, অপরাধ, পাপাচার, খুন, হত্যা ও ধর্ষণ। ধর্মীয় শিক্ষার অভাব এসব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক। তাই সমাজে শৃঙ্খলা এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় ধর্মীয় শিক্ষার ভূমিকা অনস্বীকার্য।
ধর্মীয় শিক্ষা আমাদের যে কারণে প্রয়োজন:
• নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের উন্নয়ন:
ধর্মীয় শিক্ষা মানুষের মধ্যে সততা, দয়া, ন্যায়পরায়ণতা, সহনশীলতা এবং সহমর্মিতার মতো গুণাবলির বিকাশ ঘটায়। এটি মানুষকে ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য বুঝতে শেখায়।
• আত্মার শান্তি এবং মানসিক স্থিতি:
ধর্মচর্চার মাধ্যমে আমাদের আত্মশক্তি বৃদ্ধি পায়। আমরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠি। ফলে মানসিক প্রশান্তি আসে। আর মানসিক প্রশান্তি থাকলে আমাদের কর্মস্পৃহা বহুগুণ বেড়ে যায়।
• সামাজিক সাম্য ও শৃঙ্খলা:
ধর্মীয় শিক্ষা মানুষকে একে অপরের প্রতি সম্মান ও সহযোগিতার মনোভাব গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করে। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বাড়িয়ে দেয়। অন্যায় এবং অনৈতিক কাজ করতে নিরুৎসাহিত করে। ফলে সমাজে শৃঙ্খলা চলে আসে।
• পরিবার ও সামাজিক বন্ধন মজবুত করা:
ধর্মীয় মূল্যবোধ পরিবারে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করে। আমাদের সামাজিক বন্ধনগুলোকে শক্তিশালী করে।
• নৈতিক নেতৃত্ব গড়ে তোলা:
ধর্মীয় শিক্ষা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে সঠিক নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সৎ এবং নৈতিক নেতৃত্ব গঠনে ধর্মীয় শিক্ষার ভূমিকা অনস্বীকার্য৷
• পরকাল সম্পর্কে সচেতনতা:
ধর্মীয় শিক্ষা মানুষকে জীবনের মূল উদ্দেশ্য এবং মৃত্যুর পরের জীবনের জন্য প্রস্তুতি নিতে উদ্বুদ্ধ করে। পৃথিবীতে ভালো কাজ করলে পরকালে শান্তি এবং খারাপ কাজ করলে পরকালে শাস্তির ধারণা মানুষকে ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করবে।
অতএব, ধর্মীয় শিক্ষা মানুষকে শুধু নৈতিক জীবনযাপনেই সহায়তা করে না বরং এটি সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি এবং সমৃদ্ধি আনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।