গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরল হক নূর বলেছেন, ‘আমরা মনে করি সামনে আরও নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে। এগুলো মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তাব ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর অংশীজনদের নিয়ে আগামী দুই বছরের জন্য জাতীয় সরকার গঠন এবং দেশের স্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য আগামী ৬ মাসের জন্য সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা। একই সঙ্গে ঐক্যবদ্ধতার প্রতিফলন হিসেবে জাতীয় পতাকা অথবা শান্তির পতাকা নিয়ে কমসূচি পালন করা।’
বুধবার রাতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সংলাপের পর গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আজকে একটি নতুন অধ্যায় রচিত হয়েছে উল্লেখ করে নুরল হক নূর বলেন, এই সরকার একটি সর্বদলীয় সভা করেছে, তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ভারতের মিডিয়ায় যে সংঘবদ্ধ অপ্রচার আমরা দেখতে পাচ্ছি এটি মোকাবিলায় বাংলাদেশের জনগণ, মিডিয়া, বিদেশি আমাদের যেসব ভাই-বোনেরা আছে সবাইকে নিয়ে অপ্রচার ও প্রপাগাণ্ডার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার জন্য আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা ও পতাকা পোড়ানো ইস্যুতে ভারত সরকারের অবস্থান কি তা জানতে আমাদের সরকার ব্যাখা চাইবে। যদি ভারত আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় তাহলে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে সে ধরনের অ্যাপ্রোচ হবে। যদি তারা এ ধরনের অপ্রোচ না দেখায় এ মুহূর্তে বাংলাদেশের যারা মিত্র তাদের সঙ্গে নিয়ে কমকৌশল ঠিক করা হবে।