ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, পড়াশোনার পরিবেশ ঠিক রাখা এবং বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি ব্যারিকেড দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আকস্মিক সিদ্ধান্তে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি , জনমনে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
এই অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে যানবাহন ও মানুষের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়েছে তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে বৈঠক করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
বৈঠকে ক্যাম্পাস উন্মুক্ত করা, ডাকসু নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়। শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাম্পাস উন্মুক্ত করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, কিছু দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার সীমিত করার আকস্মিক সিদ্ধান্ত নেয়, তা জনদুর্ভোগ সৃষ্টির মাধ্যমে জনমনে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার জন্ম দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ রাষ্ট্রের এক ঐতিহাসিক জনপরিসর। ২০২৪-এর গণ–অভ্যুত্থানসহ প্রায় সব জাতীয় ও রাজনৈতিক আন্দোলন এখানেই শুরু হয়েছে। এ ছাড়া নানা সভা-সেমিনারসহ বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার প্রাণকেন্দ্রও এই বিশ্ববিদ্যালয়।…সিটি করপোরেশনের যে রাস্তাগুলো ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে চলে গেছে, সেগুলোয় যান চলাচল ক্যাম্পাসের বাইরের নাগরিকদের অধিকার।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি প্রবেশপথে ব্যারিকেড দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে শুক্রবার, শনিবার ও সরকারি ছুটির দিনগুলোয় বেলা ৩টা থেকে রাত ১০টা এবং অন্যান্য দিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ও জরুরি সেবা ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ ঠেকানোর নির্দেশনা জারি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।