ফরিদপুরে টিকটক ভিডিও তৈরির কথা বলে ডেকে এনে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে । এই ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ভাঙ্গার ঘারুয়া গ্রামে গত ৩১ ডিসেম্বর ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করে। ভুক্তভোগী তরুণীকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তিনি একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর।
এদিকে আটক ব্যক্তিরা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন ভুক্তভোগীকে টিকটকার আকরাম খান নতুন টিকটক ভিডিও তৈরির কথা বলে ভাঙ্গায় ডেকে আনেন। এরপর আরও ৪ জনকে সাথে নিয়ে তরুণীকে ভাঙ্গার ঘারুয়া গ্রামে একটি বাড়িতে আটকে রাখেন। সেখানে আকরাম তাঁকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার পর শুক্রবার আকরাম ঐ তরুণীকে নিয়ে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি বাসা ভাড়া করে। কিন্তু চুমুরদী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আনারুদ্দিন মোল্লা ও তার ছেলে ছাইদুল মোল্লা সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তাদের আটকে রাখেন।
ভুক্তভোগী তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, শুক্রবার মধ্যরাতে সাইদুল ও তার সহযোগীরা তরুণী ও আকরামকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে। ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিলে আকরাম ও তার সহযোগী তা টাকার মাধ্যমে সমাধান করেন। পরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন সাইদুলরা। তার যাওয়ার পর পুনরায় ঐ তরুণীকে দু’দফায় সহযোগীকে নিয়ে ধর্ষণ করেন আকরাম।
পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় পুলিশ। আটক করা হয় ৬ যুবককে।
ইউপি সদস্য আনারুদ্দিন মোল্লা জানান, স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করেছেন তারা। তবে ছেলের ভিডিও ধারণের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।