জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত দেখিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু যাকে মৃত দেখানো হয়েছে, তিনি আসলে জীবিত আছেন।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার সোলায়মান সেলিম নামের ঐ ব্যক্তি এখন আতঙ্কে সময় কাটাচ্ছেন। জীবননাশের শঙ্কায় তিনি একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
গত ৩ আগস্টে ঢাকার কাজলা এলাকায় গুলিতে তিনি শহীদ হয়েছেন দেখিয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করা হয়।
সেলিম হত্যা মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে। একই মামলায় ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান কামাল, শামীম ওসমানসহ ৪১জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও শতাধিক অজ্ঞাত আওয়ামী লীগ কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ ভুয়া মৃত্যু এবং মিথ্যে হত্যা মামলা সম্পর্কে জানতে পারে। এরপরই মিথ্যা মামলার নাটক ফাঁস হয়ে যায়।
সেলিম হত্যা মামলায় বাদী হয়েছেন তার আপন বড় ভাই। তিনি এখন পলাতক রয়েছের। একইসাথে এই মামলার সাক্ষী হিসেবেও রয়েছেন তার দুই ভাই।
পুলিশ জানিয়েছে, অধিকতর যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে সেলিমের ডিএনএ টেস্ট করা হবে। বর্তমানে ডিবি মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সেলিম জানান, জুলাই আন্দোলনকে উছিলা করে আমাকে মেরে ফেলতে চায় আমার ভাই। আমাকে মারতে পারলে মামলার আসামীদের বিনা কারণে জেল খাটাতে পারতো।
আদালত, থানা আর ডিবি কার্যালয়ে বেশ কয়েকবার দ্বারস্থ হয়ে তিনি নিজেকে জীবিত প্রমাণ করেছেন বলে জানান।
এ বিষয়টা নিয়ে সেলিমের এলাকায় এখন ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
এদিকে মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবীরা এই ভুয়া মামলাটি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন।