শরীরে রঙ-বেরঙের আল্পনা আঁকা পতঙ্গ প্রজাপতি কার না প্রিয়। ছোটবেলায় প্রজাপতির পেছনে ছুটেনি এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। প্রজাপতির মুগ্ধ করা সৌন্দর্যে মজেছেন কবিরাও।
রবি ঠাকুর তার রচনাতেও প্রজাপতির রূপ-মাধুর্য তুলে ধরেছেন। তিনে বলেছেন “তোমার চোখে দেখেছি রংধনুর খেলা, প্রজাপতি ডানা মেলে উড়ে যায় বেলা।”
প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশ তার বিখ্যাত ‘বনলতা সেন’ কবিতাতেও রূপক অর্থে ব্যবহার করেছেন প্রজাপতিকে। তিনি লিখেছেন, “দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন, সন্ধ্যা আসে; ডানা মেলে প্রজাপতি।“
বাদ যাননি সুকান্তও। তিনি লিখেছেন, “প্রজাপতির ডানায় ভর দিয়ে উড়ে যাক দূরের দেশে—যেখানে দুঃখ নেই, নেই কোনো ক্লেশ।”
এই প্রজাপতি নিয়ে ভিন্নরকম মেলার আয়োজন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে হয়ে গেল প্রজাপতির মেলা।
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব শাখার আয়োজনে এটি ছিল ১৪তম প্রজাপতি মেলা।
সাদা জালে আবদ্ধ এক সবুজ আবহে উড়ছে রঙ-বেরঙের প্রজাপতি। তা দেখতেই ভিড় জমিয়েছে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ। ভিন্ন এ আয়োজনের স্বাদ নিতে পেরে দর্শনার্থীরাও বেজায় খুশি।
দিনব্যাপী চলা এ মেলায় ছিলো নানা আয়োজন। ছিলো শিশু-কিশোরদের জন্য প্রজাপতি বিষয়ক ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা, ঘুড়ি উড্ডয়ন, প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতাসহ আরও নানা আয়োজন।
ইট-কাঠ-পাথরের কৃত্রিম পৃথিবীকে ছাপিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃতি নিয়ে এ আয়োজন মুগ্ধতা ছড়িয়েছে।