সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে আসন্ন দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে শুরু হচ্ছে লিটন দাসের স্থায়ী অধিনায়কত্বের অধ্যায়। সিরিজকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দল খুব শিগগিরই দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে। তার আগে প্রথমবারের মতো অধিনায়ক হিসেবে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন দাস।
সংবাদ সম্মেলনে নিজের নেতৃত্বের ভাবনা প্রকাশ করে লিটন বলেন, “দেখুন—এখানে জেদের কিছু নেই। আমার মনে হয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলোয়াড় মাত্রই পারফর্ম করতে চায়। প্রত্যেকটা অধিনায়ক চায় তার দল জিতুক। আমিও ব্যতিক্রম নই। আমি চাই, আমার অধীনে বড় কিছু হোক, আমি যেন যেকোনো সিরিজে জয় এনে দিতে পারি—লক্ষ্য একটাই।”
চাপ নয়, দায়িত্বকে ইতিবাচকভাবে নিতে চান লিটন। তিনি বলেন, “আমি আগেও পারফর্ম খারাপ করেছি যখন অধিনায়ক ছিলাম না। এখন অধিনায়ক হয়েও খারাপ হতে পারে আবার ভালোও হতে পারে। এটা একটা বাড়তি সুযোগ। আমরা যারা ইতিবাচকভাবে চিন্তা করি, তারা বিশ্বাস করি ফলাফল আসবেই। আমি সেই জায়গায় আছি।”
ক্রিকেটে কোনো নির্দিষ্ট ‘ব্র্যান্ড’ খেলানোর পক্ষে নন লিটন। তাঁর দৃষ্টিতে পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার বুদ্ধিমত্তা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “আমি যেভাবে চিন্তা করি, খেলায় কখনো ২০০ রান তাড়া করতে হতে পারে, আবার কখনো ১৪০ রানও যথেষ্ট। আমি চাই খেলোয়াড়রা ম্যাচের প্রেক্ষাপট বুঝে খেলুক। আজকের দিনে দল আমার কাছে কী চাচ্ছে—এই বোধ থাকলে ফল ভালো আসবে।”
অধিনায়কত্বে কোনো রোল মডেল নেই জানিয়ে তিনি বলেন, “অধিনায়কত্ব ছাড়া খারাপ খেলেছি, এখন ভালোও খেলতে পারি। আমি কাউকে ফলো করি না। ইতিবাচক-নেতিবাচক দুইটাই থাকবে, কিন্তু নিজের জায়গা থেকে আমি সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করব।”