মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম পুরো লালে লাল। সবটা যেন দখল করে নিয়েছে বরিশাল ফরচুন। ঠিক তাই হলো! সম্মান রাখলেন আসরের। তামিম ইকবালের নেতৃত্বে বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি টানা দু’বার চলে গেল বরিশালের লঞ্চে।
চিটাগং কিংসের শুরুটা এতটা প্রাণবন্ত হবে কে ভেবেছিলো? উদ্বোধনী জুটিই তুলেছেন ১২১ রান। যা বিপিএলের ফাইনালে উদ্বোধনী জুটির গড়া সর্বোচ্চ রান।
দুই ওপেনার খাজা নাফে ও পারভেজ হোসেন মিলে ঝড় তুলেন ব্যাটে। শেষমেশ ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানের একটা বড় ইনিংস তুলে নেয় চিটাগং।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বরিশালও শুরু থেকেই ম্যাচের গতি ঠিক রাখে। বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল আর তাওহিদ হৃদয়ের গতিময় ইনিংস দলকে একটা শক্ত অবস্থানে নিয়ে আসে। তামিম আউট হওয়ার আগে ৮.১ ওভারেই ৭৬ রানের জুটি, বিপিএলের ফাইনালে ওপেনিং জুটিতে যেটি এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
তামিমের পর দ্বিতীয় ঝড় তোলেন মিডল অর্ডারের কাইল মায়ার্স। তিনি করেন ২৮ বলে ৪৬ রান। এটা বরিশালকে দিয়েছে বাড়তি সুবিধা। ফলে খুব একটা পেরেশানি পোহাতে হয়নি।
সেই সাথে মুশফিকের ৯ বলে ১৬ রান এবং রিশাদের ৬ বলে অপরাজিত ১৮ রান বরিশালকে জয় ছিনিয়ে আনতে সহায়তা করে। ৩ বল হাতে রেখেই শিরোপা লুৃফে নিলো বরিশাল। দর্শকের ‘বরিশাল’, ‘বরিশাল’ ধ্বনিতে চারদিক প্রকম্পিত হয়ে উঠলো। জয় উৎসবে বাড়তি আনন্দ জোগালো ম্যাচ শেষে হওয়া লেজার শো।