রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান।।
তিনি বলেন, মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার সময় ডাকাতরা নারীদের টাচে গেছে। সেখান থেকে শ্লীলতাহানি পর্যন্ত বলা যেতে পারে।
শনিবার নিজ কার্যালয়ে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। প্রাথমিকভাবে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তার আসামি মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল ওরফে মহিতের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানায় একটি ও সাভার মডেল থানায় একটি বাস ডাকাতির মামলাসহ মোট ৫টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আরও যারা জড়িত আছে, তাদের কয়েকজনকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। অচিরেই তাদেরকে আইনের আওতায় আনবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাসের যাত্রীদের খুঁজে বের করেছি। তাদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত কাজ করেছি। বাসে নারী যাত্রীদের ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির যে বিষয়টি উঠে এসেছে, তা আমরা আমলে নিয়ে কাজ করছি। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার সময় নারীদের টাচে যেতে পারে এবং তা শ্লীলতাহানি পর্যন্ত যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ২টা থেকে রাত ৪টা পর্যন্ত রাজশাহীগামী ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। শুক্রবার রাত ২টার দিকের বাসযাত্রী ওমর আলী মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মির্জাপুর থানা পুলিশ ও টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভার মডেল থানায় অভিযান চালায়। অভিযানে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।