ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবন উভয় ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করা জরুরী। এ দু’য়ের কোথাও ভারসাম্য হারিয়ে ফেললে জীবনে আর শৃঙ্খলা থাকেনা। মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা তখন বেড়ে যায়৷ তাই এ দুই জায়গাতেই ভারসাম্য আনা দরকার।
নিচে কিছু কার্যকর উপায় দেওয়া হলো:
১. স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
ক্যারিয়ার এবং ব্যক্তিগত জীবনে কী অর্জন করতে চান, তা সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করুন। এর ফলে সময় ব্যবস্থাপনার একটা পূর্ণাঙ্গ চিত্র মস্তিষ্কে গেথে নিতে পারবেন।
২. কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করুন
প্রতিটি কাজের জন্য সময় নির্দিষ্ট করে দিন। এমনভাবে সময় ঠিক করবেন যাতে কাজটি ঐ সময়ের মধ্যে হয়ে যায়। অফিসের কাজ অফিসেই শেষ করুন।
৩. প্রাধান্য নির্ধারণ করুন
গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে তা আগে সম্পন্ন করুন। যে কাজগুলো সময়সাপেক্ষ তা পার্ট বাই পার্ট আকারে করে ফেলুন
৪. বিরতি নিন এবং বিশ্রাম করুন
টানা কাজ করে যাবেন না। কিছু সময় বিরতি নিন। নিজেকে সময় দিন। রিফ্রেশ হয়ে পুনরায় কাজে বসুন। তবে অতিরিক্ত বিশ্রাম নেয়া যাবেনা।
৫. ডিজিটাল ডিটক্স করুন
অতিরিক্ত ইমেইল, সোশ্যাল মিডিয়া বা ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে ব্যক্তিগত সময় কাটানোর সময় এই নীতি মেনে চলুন।
৬. পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মানসম্মত সময় কাটানোর ফলে মানসিক শান্তি আসে এবং জীবনের ভারসাম্য রক্ষা হয়।
৭. না বলতে শিখুন
সব কাজ নিজে করার চেষ্টা করবেন না। প্রয়োজনে “না” বলতে শিখুন। অতিরিক্ত দায়িত্ব নিলে চাপ বেড়ে যাবে।
৮. শারীরিক ও মানসিক যত্ন নিন
নিয়মিত ব্যায়াম করুন, স্বাস্থ্যকর খাবার খান, এবং মানসিক সুস্থতার জন্য ধ্যান বা ইয়োগা করুন।
৯. ছুটি নিন
সময় পেলেই ছুটি নিয়ে ভ্রমণে যান বা নিজের পছন্দের কিছু করুন। এটি নতুন উদ্যমে কাজ করার শক্তি দেবে।
১০. সাহায্য চাইতে দ্বিধা করবেন না
ক্যারিয়ার বা ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা হলে বন্ধু, পরিবার বা মেন্টরের সাহায্য নিন।
এই পদ্ধতিগুলো আপনাকে জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করবে।