ছাত্রদলের নেতারা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সহিংসতার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুয়েট শাখার আহ্বায়ক ওমর ফারুককে দায়ী করেছেন। তার নেতৃত্বেই এ হামলা হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
এই সহিংসতা আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটর করেছেন বলে তারা অভিযোগ করেছেন। একইসাথে তারা ছাত্রদলের বিরুদ্ধে ‘মব’ তৈরি ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের গেমস রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা বলেন ছাত্রদলের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন। সেখানে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে রাকিবুল ইসলাম জানান, গতকালের সহিংসতায় জড়িত স্থানীয় দলীয় কর্মীকে ইতিমধ্যেই বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে তাঁদের কেউই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন।
ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে তারা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একটি মিছিল থেকে কতিপয় ব্যক্তি ছাত্রদলের সমর্থকের ওপর অতর্কিত হামলা করার মধ্য দিয়ে। সেই মিছিলের একটি ভিডিওতে দেখা যায় যে যখন ভুক্তভোগী সেই শিক্ষার্থীরা ক্লাস শেষে অতি সাধারণভাবেই যাচ্ছিলেন, তখন মিছিলটির আহ্বায়ক মো. ওমর ফারুক প্রত্যক্ষভাবে হামলার সূচনা করেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুয়েট কমিটির কতিপয় মিছিলকারী তাঁদের দিকে অতর্কিতভাবে তেড়ে গিয়ে হামলা করেন।
তাঁদেরকে ধাওয়া দিয়ে ও মারধর করে কুয়েটের ফটকের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁরা ফটকের কাছে একটি দোকানে আশ্রয় নিলে সেই দোকানদারকেও হেনস্তা করা হয়। এর জবাবে সেই দোকানমালিকের পরিচিত কিছু স্থানীয় ব্যক্তি সেই মিছিলকারীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালান। দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে, কুয়েটের ফটক হয়ে ওঠে এক রণক্ষেত্র।
এছাড়াও তারা এ ঘটনার জন্য ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দায়ী করেছেন। তাদের অভিযোগ, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসীরাও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কথিত কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে এ হামলায় অংশ নিয়েছে।