কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক যুবদল নেতা মো. তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনার দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে। নিহত তৌহিদুল জেলার আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবি ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের বাসিন্দা । তিনি পাঁচথুবি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন।
প্রেস উইং জানিয়েছে, দেশের বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে, যাদের বেশিরভাগই প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ।
এর আগে বৃহস্পতিবার শেষ রাতে তৌহিদুলের বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানের পর তাকে আটক করা হয়। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
তবে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তানভীর আহমেদ জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ তৌহিদুল ইসলামকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দেখা যায়, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সাইফুল মালিক বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা ওই ব্যক্তিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার সময় সে অসুস্থ বোধ করায় হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তিনি বলেন, পরিবার থেকে এখনও লিখিত অভিযোগ না পেলেও পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।