আত্মবিশ্বাস হলো মানুষের ভিতরের এমন এক শক্তি যা দ্বারা মানুষ অবিশ্বাস্য রকমের সাফল্য অর্জন করতে পারে। যে বিষয়গুলো মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারে তা নিম্নরূপ-
১. যখনই কোনো সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে উপস্থিত থাকা হয় তখন সেখানের সারিতে বসার চেষ্টা করা। মনোযোগী না হওয়ার জন্যই অনেকেই পিছনের সারিতে বসতে চায়। দৃষ্টি আকর্ষণ না করার মূল কারণ হলো আত্মবিশ্বাসের অভাব। সামনে বসলে মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
২. চোখের ভাষা ঠিক রেখে সুন্দর করে কথা বলুন।
চোখের ভাষাই আপনার ব্যক্তিত্ব ও আত্মবিশ্বাসকে তুলে ধরে। নিজের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা থাকলেই মানুষ চোখের ভাষায় নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে। যা মানুষের আত্মপ্রত্যয় বাড়ায়। আত্মপ্রত্যয়ী হলে আত্মবিশ্বাস বহুগুন বেড়ে যায়।
৩ . কাজের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।
কেননা কম সময়ে অধিক কাজ সম্পন্ন করতে পারলে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। মানুষের চলার গতি ও আচরণ পর্যবেক্ষণ করাও এক ধরনের মজার কাজ, যা মানুষের উপলব্ধি ও অন্যকে বোঝার ক্ষমতা বাড়ায়। আর অন্যকে বুঝতে পারা পৃথিবীর কঠিনতম কাজের মধ্যে একটি। যা মানুষকে আত্মবিশ্বাসী ও আত্মপ্রত্যয়ী করে তোলে।
৪. মানুষের সাথে মেলামেশা বাড়ালে আত্মপ্রত্যয় বাড়ে। অনেকে আছে অসাধারণ বুদ্ধি ও ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়। আত্মবিশ্বাসের অভাবে সে মনে করে আমার মতামতের বোধ হয় কোনো মূল্য নেই। এ বোধ তাকে হীনমন্যতায় পতিত করে। যা সবসময় তাকে পেছনে ফেলে দেয়। কাজেই যত বেশি আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন ততবেশি আপনি আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে উঠবেন। এ ক্ষেত্রে আলোচনার প্রথম বক্তা হয়ে উঠতে পারলে উত্তম। সাহস করে নিজেকে সুন্দর করে তুলে ধরতে হবে।
৫. যেকোনো পরিস্থিতিতে সাহস ও হাসি মানুষকে আত্মপ্রত্যয়ী করে তোলে। প্রাণখুলে হাসলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে, হাসি ভয় দূর করে, দুশ্চিন্তাকে হারিয়ে দিয়ে নৈরাশ্যকে পেছনে ফেলে ব্যক্তিকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নেয়। যত বেশি দুশ্চিন্তা থাকুক একটু হেসে সাহসের সাথে অন্যের কথার উত্তর দিতে পারলে সমস্যা অনেক কমে যায়। প্রাণভরে হাসতে পারলে পৃথিবী অনেক সুন্দর হয়ে ওঠে। হাসি হলো পৃথিবীর শক্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই শক্তিকে নিজের মধ্যে অর্জন করুন ও বিকশিত করুন।
সুতরাং ভয়, উদ্বেগ, রাগ, চিন্তা, হীনমন্যতা হতাশা ইত্যাদি মন থেকে সম্পূর্ণরূপে উপরে ফেলে আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে উঠুন। সাফল্য এসে আপনার পায়ে লুটাবে। মন একটি ব্যাংকের ন্যায় এখানে শুধু ভালো ও শুভ চিন্তার স্থান দিন। মন্দ ও অশুভ চিন্তাকে দূরে রাখুন। তাহলেই নিজের বিবেক কার্যকরী হয়ে উঠবে ফলে ব্যক্তি সাফল্যের পথে আর একধাপ এগিয়ে যাবে।