কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও মিঠামইনে বজ্রপাতে তিন স্কুলছাত্রীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে এ দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলার চরটেকী এলাকায় হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এ সময় স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতের শিকার হয় তিন স্কুলছাত্রী—ইরিনা (১৫), প্রিয়া (১৫) ও বর্ষা (১৪)। তারা তিনজনই চরটেকী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং একই গ্রামের বাসিন্দা।
ঝড়ের মধ্যে চরটেকী নামাপাড়া এলাকার নেমার বাড়ির সামনে পৌঁছালে আকস্মিক বজ্রপাত হয়, এতে তারা গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ইরিনা ও প্রিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বর্ষাকে গুরুতর অবস্থায় কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে তিনিও মারা যান।
এদিকে একই দিনে দুপুরের দিকে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চমকপুর দক্ষিণ হাঁটি এলাকায় ধান শুকানোর খলায় কাজ করার সময় বজ্রপাতে কডু মিয়া (৪৫) নামে এক কৃষক নিহত হন।
পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিল্লাল হোসেন এবং পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. সাখাওয়াত হোসেন তিন স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। মিঠামইনের ঘটনাটিও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।