বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে হলো জুলাই গনঅভ্যুত্থান। পতন ঘটলো শেখ হাসিনা সরকারের। দেশ সংস্কার, বৈষম্য দূর করার প্রত্যাশা নিয়ে গঠন করা হলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু খোদ এই সরকার নিয়েই বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে।
বৈষম্যের প্রশ্ন তুলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসূচি পালন করেছে। তারা এই অন্তর্বর্তী সরকারে কোন বৈষম্য চান না।
সাধারণত দলীয় রাজনীতির মাধ্যমে উঠে আসা সরকারে বিভাগ ও জেলাকে প্রাধান্য দেয়া হতো। তবে একই অভিযোগ উঠেছে এই সরকারের বিরুদ্ধে। ২৪ সদস্যের এই সরকারে ১৩ জনই এসেছে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে। এছাড়া এই সরকারে ঢাকা বিভাগ থেকে ৭ জন, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ থেকে একজন করে রয়েছেন । উপদেষ্টার দপ্তর-উপ দপ্তরগুলোতেও আঞ্চলিক প্রাধান্য দেয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে।
এদিকে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে সদ্য নিয়োগ পাওয়া দুই উপদেষ্টা শিল্পগোষ্ঠী আকিজ-বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিন, চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে নিয়ে। সোস্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এমনকি তাদেরকে যাতে অপসারণ করা হয় সেই দাবিতে সোমবার (১১ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সমাবেশে উপদেষ্টা নিয়োগের মধ্যে দিয়ে ছাত্রদের রক্তের ওপর আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন,’ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে নিরাপত্তা দিতে শিক্ষার্থীরা বারবার রাস্তায় নামবে না’।