ঈদের লম্বা ছুটি কাটাতে নিজ আবাসে ফিরতে শুরু করেছেন অনেকে। এসময় অনেককে দীর্ঘ যাত্রা করতে হয়। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এসময় বাড়তি চাপ থাকে বলে হতে পারে নানান অসুবিধা।
ক্লান্তিকর ঈদযাত্রায় হতে পারে মাথা ব্যথা, পেশি ব্যথা কিংবা মোশন সিকনেস (মাথা ঘোড়া ও বমি)। তাই ঈদ যাত্রাকে স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে হলে কিছু জিনিস মেনে চলা জরুরি
স্টেশন টু গন্তব্য
স্টেশনে পৌঁছানোর সময়টা মাথায় রাখা জরুরি। ঈদে রাস্তাঘাটে জ্যাম হয় বলে অনেকসময় স্টেশনে পৌঁছাতে দেড়ি হতে পারে। তাই সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হতে হবে। যাত্রাপথে গাড়ি ধরতে না পাওয়ার মতো বিড়ম্বনা আর নেই। সেইসাথে মাথায় রাখতে হবে গন্তব্যের বিষয়টিও। গাড়িতে উঠে অনেকে ঘুমিয়ে যান। অনেকসময় এমন ঘটনা ঘটে গন্তব্য পেরিয়ে গেছে আর আপনি নাক ডেকে ঘুমাচ্ছেন। এটাও এক বিরাট বিড়ম্বনা। তাই গন্তব্যের বিষয়টি খেয়াল রাখুন।
খাবার ব্যবস্থাপনা
যাত্রার সময় পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে। রোজা রেখে যেহেতু যাত্রাপথে পানি পান করা সম্ভব নয় তাই যাত্রার পূর্বেই পানি খেতে হবে। ইফতারের পর পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে। এসময় লাইট খাবার গ্রহণ করতে হবে। অনেকে যাত্রাপথে চা-কফি বেশি খান, যতটা পারেন এটা কমাতে হবে। বাসায় যাওয়ার সময় প্রিয়জনেরা অনেক খাবারের আয়োজন করে থাকে। ঝোঁকের মাথায় অতিরিক্ত খেয়ে ফেলবেন না। এতে শরীর খারাপ হতে পারে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
ভ্রমণের সময় আমাদের শরীরে বিভিন্ন জীবানুর সংক্রমন হতে পারে। তাই গন্তব্যে পৌঁছেই হাত-মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। বাসায় প্রবেশ করেই গোসল করে ফেলুন। যে কাপড় পরে ভ্রমণ করেছেন সেগুলো ধুয়ে ফেলুন।
বিশ্রাম
দীর্ঘ সময় কোথাও যাত্রা করলে শরীর ক্লান্ত হয়, মাথা ধরে যায় অথবা পেশীতে ব্যথা হয়। তাই যাত্রার পর কিছু সময় বিশ্রাম জরুরি। বিশ্রাম করলে শারীরিক ক্লান্তি এবং অবসাদ কমে যাবে।
শরীরচর্চা
হালকা বিশ্রাম নেয়ার পর কিছু স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করতে পারেন। তাহলে পেশি ব্যথা কিংবা অবশভাব চলে যাবে। অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেললে কিছু সময় হাটুন কিংবা হালকা ব্যায়াম করুন। এতে কিছুটা ক্যালরি খরচ হবে।