বাংলাদেশ আয়তন ছোট হলেও জনসংখ্যায় প্রায় ২০ কোটি। এখানে পড়াশোনার বিষয় এবং ক্যারিয়ার নির্বাচন দু’টোই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টে কেন পড়াশোনা করবেন? এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যভিত্তিক পরামর্শ দিয়েছেন ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট, গোল্ড ম্যাডেলিস্ট, খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের লেকচারার মাহফুজুর রহমান। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মনিরুল ইসলাম।
যে কারণে ইসলামিক স্টাডিজে পড়বেন-
প্রথমত, বাংলাদেশে সরকারি চাকুরিতে ডিপার্টমেন্ট থেকে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় না। শুধু স্নাতক বা স্নাতকোত্তর থাকলেই যেকোনো সরকারি চাকরিতে আবেদন করা যায়। সেই দৃষ্টিতে ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট থেকে বিসিএস’সহ অন্যান্য যে কোন সরকারি চাকুরি করার অবাধ সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
দ্বিতীয়ত, ইসলামিক স্টাডিজ ধর্মতত্ত্ব ভিত্তিক সাবজেক্ট হলেও পাশাপাশি সমসাময়িক জ্ঞান তথা কম্পিউটার, বিজ্ঞান, রিসার্চ ম্যাথডোলজি, অর্থনীতি এবং বাংলাসহ প্রয়োজনীয় সকল বিষয় পড়ানো হয় যা যেকোনো প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখে।
তৃতীয়ত, উক্ত ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রথম সারির ফলাফল অর্জন করতে পারলে পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারবে। পাশাপাশি এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা, স্কুল এবং কলেজেও শিক্ষকতা করতে পারবে।
চতুর্থত, বাংলাদেশের স্বনামধন্য ইসলামিক ব্যাংকিং খাতে স্পেশালি সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক সেক্টরেও ব্যাংকার হতে পারবে।
পঞ্চমত, অন্যতম একটি সু-সংবাদ হলো, অন্যান্য ধর্মালম্বীর শিক্ষার্থীরাও ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টে পড়াশোনা করে মানসম্মত ক্যারিয়ার গড়তে পারবে।
ষষ্ঠত, যে কোন গণমাধ্যমের সাংবাদিক, সংবাদ উপস্থাপক, প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক, লেখক, অনুবাদক এবং উদ্যোক্তা হতে পারবে অনায়াসে।
সপ্তমত, শেষ কথা হলো ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টে পড়াশোনা করে বর্তমানে অসংখ্য শিক্ষার্থী শতভাগ স্কলারশীপ নিয়ে বিদেশে পড়াশোনা করছেন এবং সে সুযোগ দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেমন: মদিনা বিশ্বিবদ্যালয়, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও অনেক স্কলারশিপ নিয়ে পড়শোনা শেষ করে ভালো ক্যারিয়ার গড়েছেন। এছাড়াও তুরস্ক, মিশর, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কাতার এবং কুয়েতসহ অসংখ্য দেশে গবেষণার জন্য আকাশচুম্বী সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।