প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে ‘পুলিশ, আনসারের সমম্বয়ে গঠিত বাহিনী নিয়ে সশস্ত্র গেরিলা আক্রমণের পরিকল্পনা’ শিরোনামে একটি ডকুমেন্টারি প্রকাশ করেন। সেখানে দাবি করা হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল গত ৩-৪ আগস্ট ক্যান্টনমেন্টে আর্মি অফিসারদের নিয়ে ভারতের দালালদের সঙ্গে মিটিং করেছেন।
ডকুমেন্টারিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাতে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। ডকুমেন্টারিটি প্রকাশের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
অবশেষে আসিফ নজরুল তাকে নিয়ে করা ইলিয়াস হোসেনের অভিযোগের ব্যাপারে মুখ খুললেন। তিনি ইলিয়াস হোসেনের দেয়া তথ্যকে আজগুবি, ভিত্তিহীন এবং অকল্পনীয় বলে মন্তব্য করেছেন।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সভায় আসিফ নজরুল এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, খুবই দুঃখ ও অবাক লাগে যখন দেখি আজগুবি, ভিত্তিহীন, অকল্পনীয় তথ্য দিয়ে একজন আরেকজনের পেছনে লেগে আছে। একটা ভিডিওতে নাকি দাবি করা হয়েছে, আগস্টের ৩-৪ তারিখ রাতে আমি ক্যান্টনমেন্টে (সেনানিবাসে) ছিলাম। সেখানে আর্মি অফিসারদের নিয়ে ভারতের দালালদের সঙ্গে মিটিং করেছি। আমি অবাক হয়ে যাই। মানুষের কল্পনারও একটা সীমা থাকা উচিত।’
আসিফ নজরুল বলেন, ৩ আগস্ট রাতে মাহবুব মোর্শেদসহ (বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক) অন্যদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে রাত ৯টা পর্যন্ত সেখানেই ছিলাম। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোডের ১৯ নম্বর বিল্ডিংয়ে ট্রিপল-ই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মোস্তফা মামুনের বাসায় থেকেছি। আশঙ্কা ছিল, আমাকে মেরে ফেলবে, না হলে গ্রেফতার করবে।
তিনি আরও বলেন, ৪ আগস্ট সন্ধ্যার পরে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের একটি প্রোগ্রামে আমি অংশ নিয়েছি। যার অডিও আপনারা অনেকেই শুনেছেন। যেখানে আমি বলেছিলাম, আমাদেরকে মেরে ফেলতে পারে। কারণ, সবাই আমাদেরকে বলেছে পালিয়ে যেতে। তারপর সেদিন রাতেও ঢাবি শিক্ষক মোস্তফা মামুনের বাসায় ছিলাম। সবকিছুর একটা সীমা আছে।