শেষ হতে যাচ্ছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর। তিন সপ্তাহের রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর এখন শেষ ধাপে।
আজ (৯ মার্চ) ভারত-নিউজিল্যান্ডের ফাইনাল দিয়ে টুর্নামেন্টটির সমাপ্তি ঘটবে। খেলাটি আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম ’ হতে বেলা তিনটা থেকে সরাসরি সম্প্রচার হবে।
আইসিসির এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রতিযোগিতায় ব্যাক্তিগত পারফরম্যান্সে ক্রিকেটারদের গুটি কয়েক নজর কেড়েছেন সবার । তাদের মধ্যে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার দৌড়ে আছেন যারা
কেইন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড) – নিপুণ ব্যাটসম্যান
ইনজুরি কাটিয়ে ফিরার পর দুর্দান্ত ফর্মে আছেন সাবেক কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ব্যাটিং নৈপুণ্য রীতিমত ঝড় তুলছেন তিনি । চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রতিযোগিতায় ৪ ম্যাচে ৪৭.২৫ গড়ে ১৮৯ রান করেছেন এই কিউই তারকা এবং ফিল্ডিংয়ে তালুবন্দি করেছেন ৭টি ক্যাচ।
রাচিন রবীন্দ্র (নিউজিল্যান্ড) : তারুণ্যের দৃষ্টান্ত
স্বল্প সময়ের ক্যারিয়ারে দারুণ সব মাইলফলক গড়ছেন নতুন কিউই ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র। চলমান আসরেই তিনি দুটি সেঞ্চুরি করেছেন। ৩ ম্যাচে ২২৬ রানের পাশাপাশি ২ উইকেট এবং ৪টি ক্যাচও ধরেছেন এই কিউই তারকা । যদিও চোটের কারণে মিস করেছিলেন টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ।
গ্লেন ফিলিপস (নিউজিল্যান্ড) : ধরাশয়ী মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান
নিউজিল্যান্ড এর মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান গ্লেন ফিলিপস অবদান রাখছেন ব্যাটিং বোলিং এমনকি ফিল্ডিংয়ে। ৪ ম্যাচে ১৪৩ রান, ২ উইকেট এবং ৪টি ক্যাচ নিয়েছেন গ্লেন ফিলিপস।
ম্যাট হেনরি (নিউজিল্যান্ড) : উইকেট শিকারি
খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে এই কিউই তারকার।ফাইনালের আগে চোটে পড়েছেন নিউজিল্যান্ডের অন্যতম প্রধান এই পেসার।চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ম্যাট হেনরি। ৪ ম্যাচে মাত্র ১৬.৭০ গড়ে তিনি ১০ উইকেট নিয়েছেন।
মিচেল স্যান্টনার (নিউজিল্যান্ড) : বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্ব
সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েই দলকে ফাইনালে তুলেছেন এই কিউই অধিনায়ক। শিরোপা জিতার লক্ষ্য নিয়েই নামবেন আগামীকাল। ৪ ম্যাচে গড়ে ২৭.৭১ রান দিয়ে তিনি উইকেট শিকার করেছেন ৭টি ।
বিরাট কোহলি (ভারত) : ভারতীয়দের আশার প্রতীক
৫০ ওভারের ওডিআই ফরম্যাটে ভারতের দীর্ঘ সময়ের আস্থার জায়গা বিরাট কোহলি। সাবেক এই ভারতীয় অধিনায়ক টুর্নামেন্ট শুরু হতেই অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখাচ্ছেন ব্যাট হাতে। ৪ ম্যাচে রান করেছেন ২১৭ ।গড়ে করেছেন ৭২.৩৩। এ ছাড়া ফিল্ডিংয়ে নিয়েছেন ৭টি ক্যাচ।
শ্রেয়াস আইয়ার (ভারত) : মিডল অর্ডারে অন্যতম শক্তির জায়গা
ভারতের বিপর্যয় মুহূর্তে দলের শক্ত ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে যান দারুণ ফর্মে থাকা শ্রেয়াস আইয়ার । চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ৪ ম্যাচে করেছেন ১০৫ রান। তার গড় রান ৪৮.৭৫ ।
বরুণ চক্রবর্তী (ভারত) : জাদুকরী স্পিনার বরুণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দুই ম্যাচে নিজের সামর্থ্য ও প্রতিপক্ষের জন্য কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারেন সেটি দেখিয়েছেন ভারতীয় রহস্য স্পিনার বরুণ। ২ ম্যাচে মাত্র ১৩ গড়ে তিনি ৭টি উইকেট নিয়েছেন। আছেন সেরা উইকেটশিকারির তালিকায় ।
মোহাম্মদ শামি (ভারত) : নান্দনিক ভারতীয় পেসার
চোট থেকে দীর্ঘ সময় পর ফিরলেও পুরোনো ছন্দ দেখাতে ভুল করেননি ভারতীয় এই নান্দনিক পেসার। ৪ ম্যাচে গড়ে রান দিয়েছেন ১৯.৮৮ । তিনি শিকার করেছেন আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮ উইকেট।
আজমতউল্লাহ ওমরজাই (আফগানিস্তান) : অলরাউন্ডার ওমরজাই
চলমান আসরে সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে ছিল আফগানিস্তান। শেষ পর্যন্ত তেমনটি না ঘটলেও ক্রিকেট বিশ্বকে বড় বার্তা দিয়ে গেছে একসময়ের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি। আর সেই কাজে সামনে থেকে ভূমিকা ছিল অলরাউন্ডার ওমরজাইয়ের। ৩ ম্যাচে ১২৬ রান, ৭ উইকেট এবং ২টি ক্যাচ নিয়েছেন এই আফগান তারকা।