নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে আটক করতে গিয়ে বেশ ধকল পোহাতে হয়েছে পুলিশকে। রাতভর প্রতিকূল পরিস্থিতির পর তাকে গ্রেফতার করা গেলেও তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে।
গাড়ীবহরে আইভীর নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ২ জন পুলিশ সদস্যসহ ৫ জন আহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিবি রোডের কালির বাজার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে আইভীকে গ্রেপ্তারের জন্য শহরের দেওভোগ এলাকায় তার নতুন বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক বাড়ির সামনে এসে উপস্থিত হয়। তারা বাঁশ দিয়ে বাড়ির আশেপাশের সবগুলো পয়েন্ট অবরোধ করে ফেলে। গ্রেপ্তার করতে আসা পুলিশ সদস্যরাও এসময় আটকা পড়ে যায়।
পরে পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স এসে কর্মী-সমর্থকদের সাথে কথা বলে ৬ ঘন্টা পর আইভীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। গ্রেপ্তার করে নেয়ার সময়ও পুলিশের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের সময় আইভী বলেন, আমি তো বাড়িতেই ছিলাম, আমি তো পালাইনি। তাহলে এইভাবে আমাকে গ্রেপ্তার করতে হলো কেন?’
তিনি বলেন, ‘আমি কি জুলুমবাজ, আমি কি হত্যা করেছি, আমি কি চাঁদাবাজি করেছি, আমার এমন কোনো রেকর্ড আছে নারায়ণগঞ্জ শহরে কোনো বিরোধী দলকে আঘাত করেছি, তাহলে কিসের জন্য কী কারণে, কোন ষড়যন্ত্রের কারণে কার স্বার্থে আমাকে গ্রেপ্তার করা হলো? আমিও প্রশাসনের কাছে জানতে চাই।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মো. হাসিনুজ্জামান জানান, সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে ৬টি মামলা রয়েছে। তিনি রাতে পুলিশের সাথে যেতে রাজি হননি, দিনের আলো ফুটলে তিনি যেতে চেয়েছেন। গ্রেপ্তারের সময় তিনি আমাদের সহযোগিতা করেছেন।