একটি অসম্ভবকে সম্ভব করলেন ভারতের ওড়িশার এইমস ভুবনেশ্বরের চিকিৎসকরা। ২৪ বছর বয়সী এক যুবক, যার হৃদস্পন্দন প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল, তাকে বাঁচাতে সফল হয়েছেন তারা। চিকিৎসকরা যখন প্রায় হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন, তখন শেষ মুহূর্তে আরও একবার চেষ্টা করে ঘটালেন মিরাকল।
ঘটনার সূত্রপাত ৩০ সেপ্টেম্বর, যখন ওই যুবক আচমকা বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা লক্ষ্য করেন, তার হৃদস্পন্দন ক্রমশ কমছে। এরপর দ্রুত তাকে স্থানীয় হাসপাতাল হয়ে ওড়িশার এইমস ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি ঘটে এবং হৃদস্পন্দন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। টানা ৪০ মিনিটের প্রচেষ্টাতেও সিপিআর দিয়ে কোনও ফল পাওয়া যায়নি।
চিকিৎসকরা তখন যুবককে মৃত ঘোষণা করার চিন্তায় ছিলেন, কিন্তু মেডিক্যাল টিমের কিছু সদস্য ইসিএমও মেশিনের সাহায্যে সিপিআর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর, অবশেষে হৃদস্পন্দন ফিরে আসে। ৩৬ ঘণ্টা পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় তার অবস্থা। চার দিন পর যুবক কথা বলতে সক্ষম হন, যদিও তার ফুসফুস ও কিডনিতে কিছু ক্ষতি হয়। দেড় মাস পরে তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
এইমস ভুবনেশ্বরের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এটি তাদের জন্য প্রথমবার যখন ইসিএমও মেশিনের মাধ্যমে সিপিআর ব্যবহার করে কোনো রোগীকে জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।