বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের আচরণে দ্বিচারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এনসিপির আন্দোলনে সরকার সহযোগিতা করেছে কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের হামলাকে কেন্দ্র করে তিনি এ প্রশ্ন তুলেন।
তিনি বলেন, আপনারা (সরকার) কাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন, সেটা জানি না। আপনাদেরকে আমরা সমর্থন করেছি, এখনো করে যাচ্ছি। কিন্তু এনসিপি যখন যমুনার দিকে যায়, তখন তাদেরকে সাদরে বরণ করেন। তিন-চারদিন আগে দেখলাম আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে তারা গেলেন, তাদেরকে সাদরে বরণ করলেন। আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা তাদের আবাসনের জন্য গেল, তখন তাদেরকে উপহার দিলেন লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড। সরকারের দায়িত্বে আপনারা, সুশীল সমাজের লোক। কিন্তু আপনাদের আচরণের মধ্যে এই দ্বিচারিতা-বিভাজন কেনো?
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের ছাত্রদলের প্রকাশনা ও প্রচার সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গত পরশু রাত ১২টার সময় ছাত্রদল নেতা সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। কী অন্যায় করেছিল সাম্য? আমার তো মনে হয়, এখানে রাজনৈতিক কারণ আছে। তিনজন ভবঘুরে সাম্যকে কেন হত্যা করবে? কয়েকদিন আগে শাহবাগে জাতীয় সংগীত বন্ধের আন্দোলন চলছিল। তার বিরুদ্ধে সে ফেসবুকে এবং জাতীয় সংগীতের পক্ষে পোস্ট করেছে। এটাই কি সেই কারণ?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি, ফ্যাসিবাদী আমলে পার্শ্ববর্তী দেশের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলায় আবরারকে হত্যা করা হয়। আজকে জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা ৭১ এবং স্বাধীনতার পক্ষে কথা বললে তার জীবন চলে যায়! অর্থাৎ দেশের পক্ষে, যারা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে, দেশের স্বাধীনতার পক্ষে, যারা জাতীয় সংগীতের পক্ষে, তাদের জীবন চলে যায়! এজন্যই বলেছি, নিশ্চয়ই এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে।’